কেউ তাকে কখনো ডাকেনি
কিন্তু এক রক্তিম সকাল
নদী হলো—মৃত্যুর চোখের মতো লাল;
শাবল, হাতুড়ি, ইট, সিমেন্ট ও ছেনি
রাতারাতি, বেঁধে দিল পাকা শানঘাট
: সে কোথায়? পাতালে সম্রাট?
—‘তার নাম উচ্চারণ মানা’
মৃত্যুগন্ধী হাওয়াকে বললাম, যখন সে, বনসন্ধানী
বাতাস জবাব দিল, ‘জানি।
প্রত্যেকের চূড়ান্ত ঠিকানা
—রক্তনদী; কিংবা তার দু’পারের মাটি।’
আমার অন্তরে গেঁথে, স্থির হলো—সেই সন্ধ্যাটি।
জীবন—রক্তের মধ্যে স্রোতময় বেঁচে বেঁচে ক্ষীণ
তারপর, কোনো একদিন,
আততায়ী ওভাবেই খুন হয়ে যায়—
মাটি ও বাতাস আর বৃক্ষরূপনদী
মানুষের প্রতিহিংসা, যুদ্ধ, প্রেম—সমস্ত হারায়
নিরেট প্রকৃতি হয়ে জেগে থাকে
—ধ্বংসের চূড়ান্ত অবধি