বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশে ফেরার খবর গুরুত্বের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, যুক্তরাষ্ট্রের এপি ও ভারতের এনডিটিভি ভিন্ন শিরোনামে এ খবর তুলে ধরে।
গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে ১৭ বছর পর ঢাকায় ফেরেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান। তাকে বরণ করে নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসা লাখ লাখ নেতাকর্মী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিটে অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে এপি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, ‘১৭ বছর নির্বাচনের পর ফিরলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে, সামনে দেশ পরিচালনার হাতছানি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সামরিক-সমর্থিত সরকারের সময় হেফাজতে থাকাকালীন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর তারেক ২০০৮ সালে অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে চলে যান।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এবং সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় তারেক রহমানকে বরণ করে নিতে নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সংবর্ধনাস্থলেও তার জন্য জনসমুদ্র অপেক্ষা করছিল।
সংবর্ধনাস্থলে যেতে তারেক রহমানের প্রায় চার ঘণ্টা সময় লেগেছিল বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, ভিড়ের মধ্য দিয়ে তাকে বহনকারী বাসে যেতে সমস্যা হওয়ার কারণে এত সময় লেগেছে। সংবর্ধনাস্থলে এসে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তিনি সবার জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন এবং সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিবিসি শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাব্য শীর্ষ প্রার্থী ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর দেশে ফিরেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনের আগে তার প্রত্যাবর্তনকে দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, ‘কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকায় তারেক রহমান, স্বাগত জানাল লাখ লাখ মানুষ।’
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটেনে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকার পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার প্রত্যাবর্তন ঘিরে নেতাকর্মীরা ঢাকার রাস্তায় নেমে তাকে স্বাগত জানান। আসন্ন ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনে তিনি সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। তিনি স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় আসেন।