রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট
প্রথম দিন শান মাসুদের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে দৃঢ়তা দেখান আব্দুল্লাহ শফিক। দুজনের হাফসেঞ্চুরিতে মনে হচ্ছিল বড় স্কোরের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাস্তবে তেমন কিছু করতে পারেনি তারা। পরে ব্যাট হাতে সাউদ শাকিল আর সালমান আগা লড়াই করলেও স্বাগতিকদের সংগ্রহ প্রত্যাশা মাফিক হয়নি। কেশব মহারাজ স্পিন জাদুতে একাই ৭ উইকেট শিকার করায় প্রথম ইনিংসে ৩৩৩ রানের বেশি পুঁজি পায়নি শান মাসুদরা। উল্টো বড় সংগ্রহের পথে হাঁটছে এখন দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তুলে ফেলেছে তারা।
প্রথম দিনের অপরাজিত সাউদ শাকিল (৬৬) দ্বিতীয় দিনে ফিফটি পূরণ করলেও তার পার্টনার সালমান আগা (৪৫) ফিরে গেছেন ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে। পরে অন্য কোনো ব্যাটসম্যান লড়াই জমিয়ে তুলতে পারেননি মহারাজের দুর্বোধ্য ঘূর্ণির বিপক্ষে। বাকিরা সিঙ্গেল ডিজিটে সন্তুষ্ট থাকায় পাকিস্তানের ইনিংস থেমেছে একটু আগে-ভাগেই। ১৭ রানে শেষ ৫ উইকেট খুইয়েছেন পাকিস্তান। টেস্টে পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলিং এখন মহারাজের- ৭/১০২। আগের রেকর্ডটি ছিল পল অ্যাডামসের- ৭/১২৮, ২০০৩ সালে লাহোরে। হয়েছে আরেকটি রেকর্ড। টেস্টে প্রোটিয়াদের জার্সিতে সর্বাধিকবার ‘৭ উইকেট’ নেওয়ার হিউ টেফিল্ডের রেকর্ডে অংশীদার হয়েছেন মহারাজ।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের শুরুটা নড়বড়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। দলীয় ৫৪ রানে বিদায় নিয়েছিল তাদের দুই ওপেনার। পরে তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রোটিয়াদের বিপদমুক্ত করে এগিয়ে নেন ট্রিস্টান স্টাবস ও টনি ডি জর্জি। দুজনে মিলে গড়েন ২২৩ বলে ১১৩ রানের চমৎকার এক পার্টনারশিপ। ৬৮ (ব্যাটিং) রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে এখনো ক্রিজে টিকে আছেন স্টাবস। তবে ৫৫ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন জর্জি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস : ৩৩৩/১০, ১১৩.৪ ওভার (শান ৮৭, সৌদ ৬৬, শফিক ৫৭, সালমান ৪৫; মহারাজ ৭/১০২ ও হারমার ২/৭৫)।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস : ১৮৫/৪, ৬৫ ওভার (স্টাবস ৬৮*, ডি জর্জি ৫৫, মার্করাম ৩২; আসিফ ২/২৪)।
* দ্বিতীয় দিন শেষে