হোম > বিশ্ব

পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর নতুন অভিযান শুরু

আমার দেশ অনলাইন

পশ্চিম তীরের অধিকৃত এলাকায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নতুন অভিযান শুরু করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। স্থানীয় গভর্নর এএফপিকে জানিয়েছে, সেনারা বেশ কয়েকটি শহরে অভিযান চালিয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা উত্তরাঞ্চলে একটি বড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে, যেখানে সন্ত্রাসীরা ঘাঁটি তৈরি করার চেষ্টা করছিল। অভিযানের প্রথম পর্যায়ে বিমান হামলা চালানো হয় এবং পরে স্থল অভিযান শুরু করে সেনারা, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং অর্থ জব্দ করা হয়।

ইসরাইলি সেনারা দাবি করেছে, জেনিন গভর্নরেটের কাবাতিয়া এলাকায় অভিযান চলাকালে এক ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই অভিযানটি নতুন বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, যা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া পূর্ববর্তী অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। পূর্ববর্তী অভিযান মূলত পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরগুলিতে পরিচালিত হয়েছিল।

বর্তমান অভিযানটি রাত থেকে শুরু হয়ে পশ্চিম তীরের ১১টি গভর্নরেটের মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃষিপ্রধান তুবাস অঞ্চলে চালানো হচ্ছে। তুবাস গভর্নর আহমেদ আল-আসাদ এএফপিকে জানিয়েছেন, এটি প্রথমবারের মতো পুরো গভর্নরেট জুড়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। সেনারা তাম্মুন, তায়াসির শহর এবং আল-ফারা শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়েছে।

গভর্নর আরো জানান, সেনারা শহরের প্রবেশপথে মাটির বাঁধ দিয়ে প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল রোধ করা হয়েছে। এদিকে, একে রাজনৈতিক অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেছেন আসাদ, যা নিরাপত্তাজনিত নয়।

স্থানীয় সূত্রের মতে, তুবাস শহরে সেনারা টহল দিচ্ছিল এবং বেশ কিছু সাঁজোয়া গাড়ি চলাচল করছিল। আকাশে নজরদারি ড্রোনও উড়ছিল। অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল এবং তাম্মুন শহরের প্রবেশপথ সামরিক গাড়ি দিয়ে বন্ধ করা হয়েছিল।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তারা ১০ জন আহতকে চিকিৎসা দিয়েছে, এর মধ্যে চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। সংস্থাটি আরো অভিযোগ করেছে যে, তাদের মেডিকেল টিমকে তুবাস ও তাম্মুনে রোগী পরিবহনে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা "ওসিএইচএ" জানায়, এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং অন্তত দুই ডজন পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

এদিকে, হামাস ও ইসলামিক জিহাদ ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে। হামাস দাবি করেছে যে, এটি পশ্চিম তীরের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি অভিযান।

২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের আক্রমণের পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে গত মাসে যুদ্ধবিরতি হলেও সহিংসতা থামেনি। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়া পর থেকে পশ্চিম তীরে ১,০০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই সাধারণ নাগরিক। অপরদিকে, ইসরাইলি সরকারি হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ৪৪ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছে।

এসআর

সামরিক অভ্যুত্থানের পর গিনি-বিসাউয়ে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা

বই-খাতা নেই, ঘরও নেই—অস্থায়ী তাঁবুতেই গড়ছে গাজার আগামী

এবার কি লেবানন ধ্বংসের ইঙ্গিত দিলেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ব্রাজিলে ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার দাবি

জার্মানির পার্লামেন্ট চলাকালে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন, নেপথ্যে কে

পশ্চিমা নৈতিকতার ভণ্ডামি ও ইরানের প্রতিরোধের গল্প

করোনা নাকি বার্ড ফ্লু বেশি ঝুঁকি, যা বলছে গবেষণা

নেতানিয়াহুর নির্দেশ কি অমান্য করলেন সেনাপ্রধান?

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর অজান্তেই চলে যাচ্ছে লোকেশনের তথ্য, কীভাবে

চালু হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ল্যাব-উৎপাদিত গোশতের খামার, কোথায়