হাঁস ধরা নিয়ে ঝগড়া বিবাদের ঘটনায় চাচাতো ভাইর বউয়ের হাতে খুন হলেন জুতা কারখানা শ্রমিক টুকু মোল্লা। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্রামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা রাতে। নিহত টুকু মোল্লার স্ত্রী আমেনা বেগম তার স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। রাইসা ও নূর নামে দুই শিশু কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন টুকু মোল্লা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গুনপালদী গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে টুকু মোল্লা ঢাকায় একটি জুতার কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
ভাঙ্গা থানার এসআই মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হবে এবং এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
ভাতিজার সুন্নতে খতনার দাওয়াতে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে আসেন টুকু মোল্লা। শুক্রবার সন্ধ্যায় চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর হাঁসের খোপে তাদের একটি হাঁস চলে গেছে দাবি করে টুকু মোল্লার স্ত্রী। এসময় চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চাচাতো ভাইর স্ত্রী সীমা বেগম। ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হলে বাড়ির লোকজন মীমাংসা করতে এগিয়ে আসে। তবে উত্তেজনায় চাচাতো ভাইর স্ত্রী সীমা বেগম ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে টুকু মোল্লাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় স্বজনদের কান্নায় আকাশ আরও ভারী হয়ে ওঠে।