জুলাইযোদ্ধাদের নিয়ে দারুণ এক উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। হাত-পা হারানো ১২ জুলাইযোদ্ধাকে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্যারা অলিম্পিকের জন্য তৈরির কাজ করছে দেশের একমাত্র ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। তারা হলেন আমানউল্লাহ, আমজাদ হোসেন, আল আমিন, মোরসালিন, ইবাত হোসেন, মানসুরা, নুরজাহান আক্তার, মেরাজউদ্দীন শ্রাবণ, মিরাজ ইসলাম ও রাকিব হাসান। জুলাই-আগস্টে তাদের ত্যাগ, সাহসিকতা ও বীরত্বগাথাকে জানিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছে বিকেএসপি। এমনটাই জানিয়েছেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম।
জুলাইযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করার এই পরিকল্পনার শুরুটা ছিল অন্যরকম। বিকেএসপি ক্যাডেটদের অনেকেই বিভিন্ন কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। যেমন : ইনজুরি সমস্যা, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়া, ক্রীড়াক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে জাতীয় কিংবা বিকেএসপি দলে নিজ অন্তর্ভুক্তিতে ব্যর্থতা ইত্যাদি। আর এসব দেখেই ভিন্নধর্মী চিন্তা করেন মুনীরুল। তিনি ব্র্যাক রিহ্যাব সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি সেমিনার আয়োজন করেন, যাতে জুলাইযোদ্ধাদের হার-না মানা গল্প শুনে উজ্জীবিত হয়ে উঠতে পারেন ক্যাডেটরা। সেখানেই দিনশেষে চলে যাওয়ার সময় একজন আহতের প্যারা অলিম্পিকে অংশগ্রহণের ব্যাপারের প্রশ্নেই পরিকল্পনার শুরু।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আর্চারি, টেবিল টেনিস ও শুটিংকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ, একজন হাত-পা হারানো ব্যক্তি এই তিন খেলা সহজে রপ্ত করতে পারবে। প্রতিটি খেলার জন্য চারজন করে মোট ১২ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন নারী। তাদের তিন মাসের প্রশিক্ষণের জন্য ১০ লাখ ৩২ হাজার টাকা দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এই টাকা থেকেই তাদের খাবার, বাসস্থান, যাতায়াত বিকেএসপি কর্তৃক বহন এবং প্রতিদিন ৪০০ টাকা হিসেবে পকেট ভাতা প্রদান করা হবে।