দ্য আটলান্টিকের বিশ্লেষণ
কাতারে ইসরাইলের বিমান হামলার আট দিন পর গাল্ফ অঞ্চলকে অনেকটা কাঁপিয়ে সৌদি আরব ঘোষণা করে যে, তারা পাকিস্তানের সাথে একটি নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মার্কিন নিরাপত্তা স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে ওয়াশিংটনের বেশিরভাগ আলোচনাতেই সৌদি-পাকিস্তানের সেই চুক্তিটি অনেক গুরুত্ব পেয়েছে। কাতারের ওপর ইসরাইলের ওই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ব্যর্থতাকে অনেকটা উন্মোচন করেছে।
আরো স্পষ্ট করে বলা যায় যে, উপসাগরীয় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার কাতারকে রক্ষা করতে না পারার প্রভাবই সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে।
যদিও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকেই বেশি গুরুত্ব দেয় সৌদি-আরব। আর এ কারণে পাকিস্তানকে দেওয়া এমন প্রতিশ্রুতি অনেকটাই মলিন হয়ে যায়। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্লেষকরা, এই প্রতিরক্ষা চুক্তিটিকে কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এক ধরনের বার্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তারা বলেছেন, রিয়াদও অন্যান্য অংশীদারদের মতো যুক্তরাষ্ট্রকেই অনুসরণ করবে। বিশেষত, নভেম্বরের শুরুতে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ওয়াশিংটন সফর এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-৩৫ ও বিভিন্ন অস্ত্রের অনুমোদন বিশ্লেষকদের এমন দৃষ্টিভঙ্গিকে আরো শক্তিশালী করে। তবে, সৌদি-পাকিস্তান চুক্তির কাঠামোতে একটি উল্লেখযোগ্য দিক বাদ পড়েছে, আর তা হচ্ছে ভারতের জন্য রয়েছে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব। প্রকৃতপক্ষে, চুক্তিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও মধ্যপ্রাচ্যে ভারতীয় স্বার্থের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেব।
সৌদি-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। উভয় দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে- পাকিস্তানের অভিবাসী শ্রমিক ও ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগিতা। ঐতিহাসিকভাবেই সৌদি সশস্ত্র বাহিনী প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অফিসারদের ওপর নির্ভর করে আসছে। এছাড়াও ১৯৬৩ সাল থেকে, পাকিস্তানের সৈন্যদের মক্কা ও মদিনার মতো পবিত্র শহরগুলোর নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে। ১৯৮০-এর দশকে, উভয় দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে) সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আফগান মুজাহিদিনদের সমর্থন করেছে এবং এমনকি তাদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছিল। এছাড়াও পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে সৌদি আরব আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে, সৌদি আরবে পাকিস্তানের এমন প্রভাব, কিছুটা হলেও উপসাগরীয় অঞ্চলে— ভারতের ক্ষমতাকে সীমিত করে দিয়েছে। উপসাগরে ভারতের উপস্থিতি প্রথমত তাদের প্রবাসীদের ঘিরে, উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের ছয়টি দেশে প্রায় ৯৭ লাখ ভারতীয় বাস করেন। ২০২৪ সালে, তারা ৪৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল ভারতে। তবে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিবাসী সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে, যা ভারতকে উপসাগরে কৌশলগত খেলোয়াড় হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষত, মোদি নীতির উচ্চ-স্তরের সফরের উত্থানে তার প্রতিফলন দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ২০২২ সালের ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বতে নতুন বাণিজ্য চুক্তি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভারতীয় অবকাঠামোর আধুনিকীকরণে উপসাগরীয় বিনিয়োগ। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার বৃহত্তর সহযোগিতাও জড়িত ছিল।
ওই সময়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে, হুথি বিদ্রোহীদের দমনে সৌদি আরব একটি জোট গঠন করলে পাকিস্তান সেই জোটে অংশগ্রহণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। ইসলামাবাদের এমন প্রত্যাখান, সৌদি এবং আমিরাতের কর্মকর্তাদের ক্ষুব্ধ করেছিল। অথচ অর্থনৈতিক দেউলিয়া এড়াতে পাকিস্তান তখনো উপসাগরীয় আর্থিক সহায়তার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল। যার কারণে পাকিস্তানের এমন পদক্ষেপকে অকৃতজ্ঞতার শামিল বলে উল্লেখ করেন তারা। আবুধাবি বা রিয়াদের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত তখন উদীয়মান শক্তি এবং পাকিস্তান আর্থিক পতনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এমন ক্রমবর্ধমান ব্যবধান তৎকালীন সময়ে উপসাগরীয় নেতাদের দক্ষিণ এশীয় অংশীদারিত্বকে পুনর্মূল্যায়ন করতে প্ররোচিত করে। যার ফলে ভারত তখন উপসাগরীয় নেতাদের লাইমলাইটে চলে আসে।
তবে, দশ বছর পরে, ভারতের গতি অনেকটা কমে গেছে। স্থানীয় বাইজেন্টাইন আমলাতন্ত্রের মতো জটিল প্রশাসনিক ব্যবস্থার কারণে, ভারতে অনেক উপসাগরীয় বিনিয়োগই বাস্তবায়িত হতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। যা দিল্লিকে চূড়ান্ত লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করে। ফলস্বরূপ, সেই সময়ে এশিয়া-উপসাগরীয় চুক্তিগুলো সত্যিকারার্থে ভারতের সঙ্গে নয় বরং চীনের সাথেই গড়ে উঠেছিল।
আর এমন ক্ষেত্রে পাকিস্তানের মতোই, উপসাগরীয় দেশগুলোও ঝুঁবিপূর্ণ বা নাজুক পরিস্থিতিতে চীনের কাছাকাছি চলে আসে। যা সরাসরি ভারতীয় স্বার্থকে আঘাত করে। সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত চীন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং মনুষ্যবিহীন ড্রোন ব্যবস্থা কিনেছিল। এরপর থেকেই পশ্চিমা সরকারগুলোর মধ্যে সন্দেহের দানা বাঁধতে শুরু করে। ধারণা করা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানও চীনা যুদ্ধজাহাজ সরবরাহের জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে। উপসাগরে চীনা নৌবাহিনীর ঘাঁটির সম্ভাবনায় ওয়াশিংটন সতর্কতা সংকেত জারি করে। অন্যদিকে, ভারতের উপকূল থেকে প্রায় ২,০৮৪ কিলোমিটার দূরে ওমানে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির উপস্থিতি, দিল্লির মধ্যে একটা বড় উদ্বেগ তৈরি করেছে।
এখন পর্যন্ত, দিল্লির স্বার্থ-বিরুদ্ধ নীতিমালায় ভারতের কর্মকর্তারা উপসাগরীয় অংশীদারদের চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। ভারতীয় কূটনীতিকরা স্বীকার করেন যে, উপসাগরীয় অঞ্চলে বেইজিংয়ের প্রভাবের উদ্বেগজনক হতে পারে। পাশাপাশি তারা এখন স্বীকার করেন, ভারত এখনো ব্যবসায়িক চুক্তি বা নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের মতো মধ্যপ্রাচ্যে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে না।
লেখক জিন-লুপ সেম জানিয়েছেন, উপসাগরীয় কর্মকর্তা এবং বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় কৌশলগত সমীকরণে ভারতের নাম খুব কমই উল্লেখ করা হয়। যেন মনে হয়, আবুধাবি, রিয়াদ বা মাস্কটের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শক্তির প্রতিযোগী হল বেইজিং অথবা ওয়াশিংটন। এর অর্থ এই নয় যে, ভারতকে অবহেলা করা হয়েছে, বরং এটিকে একটি এশীয় শক্তি হিসেবে দেখা হয় - বিশ্বব্যাপী নয়। বলা যায়, বিনিয়োগের জন্য একটি গন্তব্য এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলোতে একটি সম্ভাব্য অংশীদার। অন্য কথায়, উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর বিশ্বাস অনুযায়ী, তাদের ভারত নীতি, চীন এবং পাকিস্তান নীতি থেকে আলাদা। অন্যদিকে, ভারতের কর্মকর্তারাও এই বিশ্বাসকে কখনো চ্যালেঞ্জ করেন না।
উপসাগরীয় এবং ভারতীয় ধারণার মধ্যে ব্যবধান মূলত দিল্লির স্পষ্ট আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাব থেকে উদ্ভূত। আজ পর্যন্ত, ভারত মধ্যপ্রাচ্য বা উপসাগরীয় অঞ্চলের জন্য কোনো কৌশল করেনি। চীনের একটি কৌশল রয়েছে অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপকে দূরে রেখে বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা। এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল হচ্ছে ইরানকে নিষেধ্জ্ঞায় রাখা, তাদের তালিকাভুক্ত ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং চীনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা।
ভারতের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি একেবারেই উল্টো। দেশটির রয়েছে কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কগুলোর একটি বিচ্ছিন্ন সমষ্টি। এর কিছু সম্পর্ক খুবই মজবুত (ইসরাইল, সংযুক্ত আরব আমিরাত), আর কিছু সম্পর্ক স্থিতিশীল হলেও সীমিত পরিসরে (সৌদি আরব, ইরান)। সব মিলিয়ে এগুলো কোনো সমন্বিত আঞ্চলিক কৌশল গঠন করে না। এর কারণ এই নয় যে, দিল্লি এমন কৌশল তৈরি করতে পারে না; বরং এমন কৌশল না থাকলে দ্বিপাক্ষিক নীতিগুলোর মধ্যকার অস্বস্তিকর দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হতে হয় না—যা নীতিনির্ধারকদের জন্য সুবিধাজনক।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভারত সামরিক কেনাকাটার জন্য ইসরাইলের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল (ভারতে অস্ত্র রপ্তানিকারকদের তালিকায় ইসরাইল তৃতীয়), আবার একই সময়ে ভারত ইরান থেকে তেল আমদানিও অব্যাহত রেখেছে। ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানকে মোদি সরকার বেশিরভাগ সময়ই সমর্থন করেছে, তবে পাশাপাশি জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা—ইউএনআরডব্লিউএ—কে ভারতের আর্থিক সহায়তা বরং বাড়ানো হয়েছে; যদিও জেরুজালেম এই সংস্থার বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ তুলে আসছিল। (গত অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালত—আইসিজে—ইসরাইলের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানায়, ইউএনআরডব্লিউএ–তে হামাসের ‘অনুপ্রবেশ’-এর কোনো প্রমাণ নেই।)
ভারতীয় কূটনীতিকরা এখানে হয়তো যুক্তি দিতে পারেন যে, এটি তাদের বহু-জোটবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গির উদাহরণ। অর্থাৎ সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার উদাহরণ। তবে, এই বহু-জোটবদ্ধতা ভারতের স্বার্থের দন্দ্বে প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যখন উপসাগরীয় দেশগুলো- চীন ও পাকিস্তানের সাথে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো গভীর করে, তখন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দ্বৈত হুমকি সৃষ্টি হয়।
আর সবশেষে, উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের এই সমস্যা মার্কিন নীতিতেও প্রভাবিত করে। গত পাঁচ বছর ধরে, ওয়াশিংটন ভারতকে মধ্যপ্রাচ্যে একটি সম্ভাব্য নতুন অংশীদার হিসেবে দেখে আসছে। তারা দিল্লিকে আইটুইউটু-তে রেখেছে যা মধ্যপ্রাচ্য কোয়াড বা পশ্চিম কোয়াড নামেও পরিচিত। এটি ভারত, ইসরাইল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি কৌশলগত জোট। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ করিডোরসহ বেশ কয়েকটি নতুন উদ্যোগে জড়িত করেছে। তবে, যদি উপসাগরীয় দেশগুলো চীন বা পাকিস্তানের সাথে তাদের কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধি করে, তাহলে ভারতের ক্ষমতা আরো দুর্বল হয়ে পড়বে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সেই উদ্যোগগুলোর উন্নয়ন বিপন্ন হয়ে যেতে পারে। মার্কিন কূটনীতিকদের উচিত ওয়াশিংটনের সেই পরিকল্পনার সীমাবদ্ধতাগুলি পর্যালোচনা করা।
এত সব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ভারতের মধ্যপ্রাচ্য নীতি এখনো টিকে থাকতে পারে। বিশেষভাবে লক্ষ্য করার বিষয় হলো—রিয়াদ যখন পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি ঘোষণা করল, তখন দিল্লি নীরব থাকেনি। গণমাধ্যমে প্রশ্নের জবাবে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাকিস্তানের সাথে সৌদির চুক্তির চারপাশে সংবেদনশীলতা মনে রাখার ওপর জোর দিয়েছিলেন। সেই কূটনীতিক বিস্তারিত কিছু বলেননি, তবে তার মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, বহু-জোটেরও শেষ পর্যন্ত একটি সীমা রয়েছে। উপসাগরীয় দেশগুলো যদি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীনের সাথে যুক্ত হয়, তবে ভারত আরো প্রতিবাদী হয় কিনা তা এখন দেখার বিষয়। প্রতিযোগিতার এমন পরিবেশে ভারত যদি নিজেকে একটি প্রধান শক্তি হিসেবে বিবেচিত করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই আরো স্পষ্ট এবং দৃঢ় আঞ্চলিক কৌশলী হতে হবে।
জিন-লুপ সামান আটলান্টিক কাউন্সিলের একজন ননরেসিডেন্ট সিনিয়র ফেলো এবং সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো।