গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে সারা দেশে এক লাখ ৩৯ হাজার হেক্টর বিভিন্ন ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভাষ্যমতে, জলাবদ্ধতায় মাঠে থাকা আউশ, আমন বীজতলা, বোনা আমন, পাট, শাকসবজি, ফলবাগান, পান, তরমুজ পানিতে নিমজ্জিত হয়ে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। এ আট বছরে দেশের কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে এক দশমিক ৯৮ শতাংশ, বনভূমি কমেছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া ও জোয়ারে উপকূলীয় জেলাসহ সারাদেশের কৃষিক্ষেত্রে ও মাছচাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হওয়ায় উপকূলের অনেক বাঁধ
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, পাওয়ার চায়না গ্রুপের সঙ্গে কৃষিতে বিনিয়োগের একটি চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা)।
বাংলাদেশ পোশাক এবং কৃষির মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পের বাইরেও উন্নতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো, উন্নত শাসনব্যবস্থা এবং ক্রমবর্ধমান বিদেশি বিনিয়োগের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে অনেক নতুন এবং উচ্চপ্রযুক্তির শিল্পের আবির্ভাব হতে পারে।
গবেষণায় সুফল মিললেও রহস্যজনকভাবে নীতিনির্ধারক আমলাদের অনীহার কারণে দেশে চাষ হচ্ছে না সম্ভাবনাময় সুগারবিট। গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুগারবিট চাষে উৎপাদিত চিনি দিয়ে দেশের ৩০ লাখ টন চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি এবং দামও অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্প ও কৃষির অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে, যা আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জনসংখ্যার গুণগত ব্যবহারের মাধ্যমে কাজে লাগানো সম্ভব। আমাদের উর্বর মাটি ও কৃষি উৎপাদন সক্ষমতা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি কৃষি। এটি খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং সম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি।
থোকায় থোকায় ঝুলে আছে সুগন্ধি জিরা। থোকার ফাঁকে ফাঁকে বেগুনি ছোট্ট ফুল পুরো দৃশ্যটাকে করেছে অপূর্ব। আশপাশের মাঠে কখনো জিরা চাষ হয়নি। তাই নতুন ফসল এলো এলাকায়। কৃষকেরাও বেশ আগ্রহী এ বিষয়ে।
‘সূর্যমুখী দ্বিতীয় বার চাষ করেছেন। গত বছর ফলন ভালো হওয়ায় এবার পুনরায় চাষ করেছেন।। অন্যান্য ফসলে যে পরিমাণ সার, কীটনাশক, পানি দেয়া হয় এ ফসলে তার অর্ধেক। আবার ফলন হয় ভালো।
ধান, পাট কিংবা মাটির গন্ধ ছোটবেলা থেকেই মুগ্ধ করত তাকে। বড় হয়েও সেই মোহাচ্ছন্নতা কাটেনি। তাই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন কৃষিকেই। নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন গাছ, ফুল, ফল লতা-পাতার সঙ্গে। বর্তমানে কৃষি খাতের এক উজ্জ্বল নাম উম্মে কুলসুম পপি।
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, দেশ থেকে সারের সংকট চিরতরে জাদুঘরে পাঠানো হবে। এজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারের মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, কৃষি আমাদের দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। আমাদের দায়িত্ব শুধু কৃষকদের সহায়তা করাই নয়, বরং তাদের জীবনমান উন্নত করা এবং টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য কাজ করা।
যেসব জমিতে আগে বোরো চাষ করা হতো সেখানে এবার ভুট্টা চাষ করেছি। বোরো চাষে খরচ অনেক বেশি। কাটা শুরু হলে ধানের বাজারে ধস নামে। উৎপাদন খরচই ওঠে না। ভুট্টা চাষে খরচ কম, দামও ভালো পাওয়া যায়।
চাষে খরচ কম। কম সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায়। একবারের বেশি সার দিতে হয় না। এ কারণে সরিষা চাষে আগ্রহ কৃষকদের। দুই মাসের মাথায় ফসল তুলতে পারেন। সরিষা চাষ করে কৃষকরা পরিবারের তেলের চাহিদা পূরণ করছেন, অন্যদিকে বিক্রি করে লাভবান হন।