তৃতীয় বৃহৎ মুসলিম জনবহুল রাষ্ট্র বাংলাদেশের আইন ও জাতীয় সংস্কৃতি অবমাননা করে জাতিসংঘকে সমকামী দূত নিয়োগ করতে দেওয়া হবে না৷ এ সিদ্ধান্তকে জাতিসংঘের বেআইনী হস্তক্ষেপ ও ইসলাম বিদ্বেষ আখ্যা দিয়ে সর্বাত্মক প্রতিবাদ জানানো হবে বলেও বিক্ষোভ থেকে জানানো হয়।
মধ্যপ্রাচ্য আবারও অস্থিরতার ধারে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ইসরাইল সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে ইরানের ওপর সামরিক হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। এই হামলায় অসংখ্য নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোও রয়েছে।
ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, আল্লামা ইকবাল, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, খাজা নাজিমউদ্দীন ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ আশঙ্কা করছেন, এই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে কাশ্মীর ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ হতে পারে।
অর্গানইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা এবং তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে জন্ম নিয়েছিল। ৫৬ বছর আগে জন্ম নেওয়া ৫৭টি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাটি মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষা কতটা করতে পেরেছে, সে প্রশ্ন দীর্ঘদিনের।
ওয়াক্ফ হলো মুসলিম আইনে স্বীকৃত একটি স্থায়ী ভূমি ব্যবস্থাপনা। এভাবে অস্থাবর বা স্থাবর সম্পত্তি ধর্মীয় উদ্দেশ্যে দান করা হয়। এই অনুদানকে ‘মুশরুত-উল-খিদমত’ বলা হয়। যিনি এই দান করেন, তাকে ‘ওয়াকিফ’ বলা হয়।
ইসলামি সমাজে এক কল্যাণময় দানের ধারা হিসাবে শুরু হয় ভারতের ওয়াক্ফ আইনের ইতিহাস, যা মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, দরগাহ ও গরিবদের সেবায় ব্যবহৃত হতো। এই ওয়াক্ফব্যবস্থা মুসলিমসমাজের শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনকে যুগ যুগ ধরে এগিয়ে নিয়েছে।
সংখ্যালঘু মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে চরম ব্যর্থ ভারত। বরং বিভিন্ন অজুহাতে রাষ্ট্রীয় মদদে বুলডোজার দিয়ে মসজিদ ভাঙার ঘটনা এখন দেশটিতে নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তাঘাটে মুসলিমদের ধরে ধরে প্রায়ই হেনস্থা করা হয়। ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হয়। গরুর গোশত রাখার দায়ে মুসলিমদের পিটিয়ে মারে
২০২৪ সালে ভারতে মুসলিমবিদ্বেষ বেড়েছে। বছরটিতে ভারতের সংখ্যালঘুদের প্রতি, বিশেষ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের (হেট স্পিস) ঘটনা ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে গত বছর ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সময় এ ধরনের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
উত্তরাধিকার আইনে নারীর বৈষম্য নিয়ে উত্থাপিত বিষয়টি ইসলাম ও মুসলিমবিরোধীদের একটি অমূলক ও ভ্রান্ত অভিযোগ। যুগে যুগে এ প্রশ্নটি যেমন তর্ক-বিতর্কে রূপ নিয়েছে, তেমনি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে নস্যাৎ করতে তৎপর তথাকথিত সুশীলরা কৌশল বুঝে বিষয়টি সময়ে সময়ে সামনে এনেছে; বিশেষ শ্রেণিকে উসকে দিয়েছে।
তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও মুসল্লিদের নফল নামাজ, তাসবিহ তাহলিল, জিকির আসগারের মধ্য দিয়ে শনিবার বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
জুমার নামাজে শরিক হতে সকাল থেকেই মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটতে থাকেন। সময় গড়াতেই মুসল্লিদের ঢল নামে।
স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ গড়ে তুলেছিলেন ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি বা আইআইটি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারতকে উন্নত করতে প্রথম আইআইটি গড়ে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুরে। সেই কেন্দ্রই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে।
হিন্দুত্ববাদ নিয়ে কয়েক বছর ধরে বহু লেখালেখি হয়েছে। এই কট্টর আদর্শের উদ্দেশ্য হলো ভারতকে একটা আগ্রাসী হিন্দু রাষ্ট্র বানানো, যেখানে মুসলিমরা হবে বড়জোর দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক।