হোম > মতামত

ঐক্যবিরোধী প্রোপাগান্ডা কারা চালায়, কেন চালায়

মিনার রশীদ

অসুস্থ শরীর নিয়েও বেগম খালেদা জিয়া যেকোনো মূল্যে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার কথা বলে যাচ্ছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও একই কথা বলছেন। তাদের কথার প্রতিধ্বনি মির্জা ফখরুল সাহেবের কণ্ঠেও ইদানীং শোনা যাচ্ছে।

তবে কথার সঙ্গে আমাদের অনেকের অ্যাকশন মিলছে না! অতি সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা বা উক্তি খুবই ডিস্টার্বিং মনে হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির পোস্টার ছিঁড়ে জিয়াউর রহমানের ছবিকে পদদলিত করা এবং সেই কুকর্মের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া, তারেক রহমানের নামে নোংরা স্লোগান দেওয়াÑএসবকে অশনিসংকেত বলে মনে হচ্ছে। যারা এই কাজগুলো করছে, তারা নিজেরাও জানে না যে তাদের এই কাজের মূল বেনিফিশিয়ারি আসলে কে হচ্ছে?

আরো ভয়ংকর হলো, ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই একদল অন্যদলকে দোষারোপ করে ‘উইদিন নো টাইম’ জানিয়ে দিচ্ছে কারা এই কাজটি করেছে। এর ফলে পেছনের খেলারাম যে আমাদের নিয়ে ফুটবল খেলছে, সেই হুঁশটি আমরা হারিয়ে ফেলেছি! যে খেলারাম বিএনপির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডায় জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে যোগ দিচ্ছে, সেই একই খেলারাম জামায়াত-এনসিপির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডায় বিএনপির সঙ্গে হাত লাগাচ্ছে।

আগে কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই আওয়ামী প্রোপাগান্ডা মেশিন বিএনপি-জামায়াত বলয়কে দোষারোপ করত। এখন কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গেই বিজলির গতিতে বর্তমান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের একজন আরেকজনের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে।

অর্ধশতাব্দীকালজুড়ে আমরা গণতন্ত্রের অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হিসেবে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী (Political competetor) তৈরি করতে পারিনি, বরং একদিকে রাজনৈতিক শত্রু (Political Enemy), অন্যদিকে গৃহপালিত বিরোধী দল সৃষ্টি করেছি। যে রাজনৈতিক কালচারের কারণে জাতির অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে, অনেক সম্ভাবনার অপমৃত্যু হয়েছে, সেই একই রাজনৈতিক কালচার আবার ফিরে আসছে। রাজনৈতিক মিত্র এবং রাজনৈতিক শত্রুর মধ্যে আরেকটি যে পরত রয়েছে, যার নাম রাজনৈতিক প্রতিযোগী বা প্রতিদ্বন্দ্বী, সেই কথাটি আমরা ভুলে গেছি। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর এই সম্পর্কটি সহজেই তৈরি হতে পারত। এ ক্ষেত্রে যাদের নিয়ে একটু আশান্বিত ছিলাম, সেই নতুন প্রজন্মও হতাশ করেছে । তারাও সেই পুরোনো রাজনৈতিক কালচার বা বদ খাসলতটি ভালোভাবেই রপ্ত করে ফেলেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে! এনসিপির সর্বোচ্চ নেতা নাহিদ লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি নেতাকে খোঁচা মেরে বলেছেন, জনসমর্থন থাকলে কাউকে দিল্লিতে বা কাউকে লন্ডনে যেতে হয় না।

নতুন এই প্রজন্ম এখন জুলাই অভ্যুত্থান কিংবা জুলাই বিপ্লবের কারণে দেশছাড়া এবং এক-এগারোর কারণে দেশছাড়াকে একাকার করে ফেলেছে। তারা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিকে আওয়ামী লীগের মতোই একই সারিতে (Political Enemy) গণ্য করছে। এই তিনটি দলের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো এবং সবচেয়ে সুশৃঙ্খল দল হিসেবে জামায়াতের সার্বিক ভূমিকায় আশান্বিত হওয়া যাচ্ছে না। তারাও নৌকা আর ধানের শীষে দুই সাপে একই বিষ আবিষ্কার করে ফেলেছে!

আজকে মনে হচ্ছে, এই খেলারামরা সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। এখন আমরা একটু স্মরণ করি, কীভাবে খেলারাম ধাপে ধাপে এই অসাধ্যটি সাধন করেছে।

বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তি (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ধারা) এবং ইসলামি শক্তি (বিশেষত জামায়াতে ইসলামীর মতো সংগঠন)Ñএ দুটি শক্তি যদি সুসংহত বোঝাপড়ায় চলত, তাহলে আওয়ামী লীগ তথা বাকশালী চেতনার রাজনৈতিক আধিপত্য অনেক আগেই টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে যেত। এ বিষয়টি ২০০১ সালের চারদলীয় জোট সরকারের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকেই বিভিন্ন ধাপে, সুপরিকল্পিতভাবে, জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামি শক্তির মধ্যে ফাটল ধরানোর নানা চক্রান্ত ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এই ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলোÑ

১. বিএনপি-জামায়াত জোটকে ‘কঠিন হজমযোগ্য’ বানানো

২০০১ সালে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে চারদলীয় জোট সরকার গঠনের পর ভারত ও তার পশ্চিমা মিত্ররা অনুভব করে, ইসলামি এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির মিলিত শক্তি ভবিষ্যতে তাদের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠবে। সুতরাং, তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল, এই জোটকে আন্তর্জাতিকভাবে ‘অগ্রহণযোগ্য’ ও ‘নিন্দনীয়’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও এনজিওর মাধ্যমে জামায়াতকে জঙ্গি বানানোর প্রচেষ্টা চালানো হয় এবং বিএনপিকে সেই জঙ্গি তকমার সহযাত্রী হিসেবে চিত্রিত করা হয়।

২. ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলা ও ‘জঙ্গিরাষ্ট্র’ তকমা দেওয়ার প্রচেষ্টা

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা ছিল একটি গভীর ষড়যন্ত্র। এতে জামায়াত বা বিএনপি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত ছিল না, কিন্তু আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় মিডিয়ায় এই হামলার পর বিএনপি-জামায়াত সরকারকে জঙ্গি পোষক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। ইসলামি শক্তিকে জঙ্গিবাদী ধারা হিসেবে দেখানো হয় এবং বিএনপিকে ‘জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা’ হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয়। এর ফলে বিএনপি নেতা ও কর্মীদের ওপর প্রচণ্ড মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়।

৩. ২০০৬-০৮ সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার : জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে বিএনপিকে নির্মূলের প্রচেষ্টা

এ সময়কালেও জামায়াতের কিছু নেতাকে আলাদা করে বিএনপির বিরুদ্ধে প্ররোচিত করার চেষ্টা চলে। জামায়াতকে জোট সরকারের কথিত দুর্নীতির দায় থেকে মুক্ত রেখে ‘আলাদা দল হিসেবে টিকে থাকার’ জন্য প্ররোচিত করা হয়। মাইনর কিছু পদপদবি বা নির্বাচনী সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জামায়াতের কিছু অংশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়। তৎকালীন সেনা নেতৃত্ব, যাদের বড় অংশ ভারতের প্রভাবাধীন ছিল, তারাও জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা চালায় এবং অত্যন্ত সফলভাবেই বিভেদের গোড়াপত্তনটি করে।

৪. ২০০৮-১৩ : যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে ইসলামি শক্তিকে নির্মূল প্রচেষ্টা

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মূলত যুদ্ধাপরাধ বিচারকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অস্ত্রে পরিণত করে :

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ফাঁসি দেওয়া শুরু হয়। লক্ষ্য ছিল : জামায়াতকে ধ্বংস করে বিএনপিকে ইসলামি ব্যাকআপ শক্তিহীন করে দেওয়া। একই সঙ্গে বিএনপিকে চাপ দেওয়া হয় যেন জামায়াত থেকে দূরত্ব রাখে।

৫. বিএনপির ভেতরে ভারতপন্থি গোষ্ঠীর প্রবেশ

২০১৩ সালের পর থেকে লক্ষ করা যায়, বিএনপির মধ্যে একটি অংশ ভারত ও পশ্চিমা লবি দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকে, যারা জামায়াতকে বোঝাপড়ার বাইরে রাখার পক্ষে অবস্থান নেয়। তারা বলে, জামায়াতের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা কমছে, জামায়াতের সঙ্গে জোট থাকলে পশ্চিমা সমর্থন পাওয়া যাবে না। এসব প্রোপাগান্ডা চাষ করে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামি শক্তির ঐক্যে চিড় ধরানোর চেষ্টা চলে।

তাদের এই মিশনকে সফল করার জন্য তারাও এক নতুন স্লোগান ও নতুন নেরেটিভ নিয়ে হাজির হয়েছে। বিএনপির একটা অংশ জিও-পলিটিকেল পরিণাম হিসাব না করেই এই টোপটি গিলছে।

স্লোগান বিশ্লেষণ : ‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার’Ñএকটি জিও-পলিটিকেলি বিপজ্জনক স্ট্র্যাটেজি

বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্লোগান একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অস্ত্র। এদেশের গণআন্দোলনের ইতিহাসে ‘তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব’ কিংবা ‘ভুট্টোর ফাঁসি চাই’ থেকে শুরু করে ‘ভবিষ্যতের নেতা তারেক রহমান’, এমন অসংখ্য স্লোগান সময়ের স্পন্দনকে ধারণ করেছে। তবে স্লোগান শুধু আবেগ নয়—এটি রাজনীতির কৌশলও। ভুল স্লোগান অনেক সময় আন্দোলনের মূল লক্ষ্যকে ভ্রষ্ট করে ফেলতে পারে, এমনকি অপ্রত্যাশিত কূটনৈতিক বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই আলোচ্য স্লোগান ‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিণ্ডি যাবে রাজাকার’ সম্পর্কে সতর্ক পর্যালোচনা আবশ্যক।

জিও-পলিটিকেল ভুল : পাকিস্তানকে টেনে এনে ভুল মোড় নেওয়া

এই স্লোগানে দুটি জায়গার নাম রয়েছে—দিল্লি ও পিন্ডি (রাওয়ালপিন্ডি)। প্রথম অংশে ‘দিল্লি’ ভারতকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে আওয়ামী শাসনব্যবস্থাকে ভারত-সমর্থিত স্বৈরাচার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি একটি রাজনৈতিক অবস্থান, যেটি বর্তমান সময়ের বাস্তবতা অনুযায়ী যুক্তিযুক্ত বলে অনেকের কাছে ধরা পড়ে।

কিন্তু দ্বিতীয় অংশে—‘পিন্ডি যাবে রাজাকার’—এখানে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিকে মোকাবিলার জন্য ‘পিন্ডি’ বা পাকিস্তানকেও টেনে আনা হয়েছে। বিষয়টি শুধু রাজনৈতিকভাবে নয়, কূটনৈতিকভাবেও আত্মঘাতী।

পাকিস্তান সরকার বা রাষ্ট্র কখনো জামায়াতকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করে না। ১৯৭১ সালের পর এমন কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত দৃষ্টিগোচর হয়নি।

১৯৭১ সালের পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আমূল বদলে গেছে। আজকের পাকিস্তান গণতান্ত্রিক রাজনীতি, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং বহুপক্ষীয় কূটনীতির মাধ্যমে নিজেকে একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তারা ভারতবিরোধী বহু ফ্রন্টে চীনের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে, যার মধ্যে কাশ্মীর ও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (CPEC) অন্যতম।

জামায়াতকে মোকাবিলায় পাকিস্তানকে টেনে আনা হচ্ছে কেন?

জামায়াতে ইসলামী একটি বাংলাদেশি রাজনৈতিক দল। তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা, ব্যাকিং এবং সংগঠন রয়েছে। এটি মোকাবিলার জন্য রাজনীতিগত ও আদর্শিক কৌশল প্রয়োজন, কিন্তু একটি আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রকে এর সঙ্গে জুড়ে দিয়ে রাজনীতি চালানো অবিবেচনাপ্রসূত।

জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান কখনো তাদের দেশে তিন-চারটির বেশি আসন কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পায়নি। পাকিস্তানের কোনো সরকারেই তারা সরাসরি কোনো প্রভাব কখনো রাখতে পারেনি।

চীনের প্রতিক্রিয়া : বন্ধুত্ব নাকি দূরত্ব?

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় চীন হলো সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুরাষ্ট্র। তারা ভারতের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব প্রতিরোধে একটি ‘ব্যালান্সিং পাওয়ার’ হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী।

কিন্তু ‘পিন্ডি যাবে রাজাকার’ স্লোগানে পাকিস্তানকে রাজাকারদের প্রতীক হিসেবে দাঁড় করানো হলে চীন এই বার্তাকে কীভাবে নেবে? চীন যেহেতু পাকিস্তানকে তার ‘All-weather Strategic Cooperative Partner’ হিসেবে বিবেচনা করে, আর চীনা কূটনীতিতে বন্ধুর শত্রু কখনো বন্ধু নয়—তাই এই স্লোগান চীনের দৃষ্টিতে বিএনপিকে অস্থির, অগ্রহণযোগ্য ও জটিল রাজনৈতিক প্লেয়ার হিসেবে তুলে ধরতে পারে। চীনের মতো একটি নীরব-শক্তিশালী বন্ধু একবার আস্থা হারালে সেটি ফেরানো প্রায় অসম্ভব।

রাজনৈতিক লাভের বদলে রাজনৈতিক ক্ষতি

এ ধরনের স্লোগানের কারণে যেসব ক্ষতি হতে পারেÑ

১. আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক কূটনৈতিক সমর্থন হারানোর সম্ভাবনা।

২. চীন, পাকিস্তান, এমনকি ইরানের মতো রাষ্ট্র বিএনপিকে কৌশলগতভাবে ‘অনভিপ্রেত’ হিসেবে দেখতে শুরু করতে পারে।

৩. ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিএনপিবান্ধব লবিং ও ফোরামে দ্বিধা তৈরি হতে পারে।

৪. আন্দোলনের বাস্তব লক্ষ্য—ভারতীয় প্রভাবমুক্ত বাংলাদেশ—তা থেকে নজর সরে গিয়ে রাজনৈতিক বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।

স্লোগান আবেগ বা ক্ষোভ নয়, কৌশল হোক

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান আরো স্পষ্ট ও পরিণত করতে ‘ব্যালান্সড ফরেইন পলিসি’ ধারণাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

বিএনপির নেতৃত্বের এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে, রাজনৈতিক স্লোগানকে ক্ষোভ, ক্রোধ, হতাশা বা আবেগের জায়গা থেকে কৌশলের জায়গায় স্থানান্তর করা।

রাজনীতি একটি দাবার খেলা। সেখানে ভুল চাল মানে আত্মঘাতী পদক্ষেপ।

পিন্ডি ও দিল্লি—দুটিকেই বুঝে-শুনে ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশের স্বার্থে, আন্দোলনের সাফল্যে আর আঞ্চলিক সমীকরণে টিকে থাকার জন্য এই বোধ অপরিহার্য।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট

গাজা নিয়েও বিপদে ভারতীয় মুসলমান

বাম প্রগতিশীলতার মুখোশের আড়ালে

অজানা চাপ, দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তার রাজনীতি

আজাদ রহমান : বাংলা উচ্চাঙ্গসংগীতের নবধারার স্রষ্টা

রক্তের ঋণ বনাম ক্ষমতার উৎসব

নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কা

সেক্যুলারিজম না মাল্টিকালচারালিজম

জুলাই বিপ্লব, ডাকসু এবং ভারতের খুশি–অখুশি

তালেবানকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণরায় চাই