হোম > পাঠকমেলা

জুলাইযোদ্ধাদের সংবর্ধনা কুমিল্লা পাঠকমেলার

এম হাসান, কুমিল্লা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুর কেন্দ্রবিন্দু ছিল কুমিল্লা। ২০২৪ সালের ১১ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ছাত্রদের ওপর হামলা চালালেই সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়—‘কুমিল্লায় হামলা কেন, খুনি হাসিনা জবাব চাই’, ‘কুবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই।’

১৮ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ী ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ওইদিন তাদের তুমুল প্রতিরোধের মুখে পুলিশ ও বিজিবি পিছু হটতে বাধ্য হয়। তারপর ৩ আগস্ট কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় জিলা স্কুল এবং পুলিশ লাইনস মোড়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে ছাত্র-জনতার তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা তাদের ওপর ব্যাপকভাবে গুলিবর্ষণ করে। আহত হন শতাধিক। ঘোষণা আসে ৪ আগস্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কোটবাড়ী ও এলাকার চর বিশ্বরোডে অবস্থান নেবে ছাত্র-জনতা। যেই বলা সেই কাজ—৪ আগস্ট সকাল ৯টা থেকেই কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। এদিকে আলেখারচর ও কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় কুমিল্লার সাবেক এমপি বাহারের নির্দেশনায় অস্ত্রসহ অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা।

সকাল ১০টায় ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার দিকে যাওয়ার পর বাহারের গুন্ডা বাহিনী ছাত্র-জনতাকে গুলি করতে করতে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ছাত্র-জনতার অনুরোধে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেনাবাহিনীর কয়েকটি এপিসি গাড়ি আলেখারচর বিশ্বরোডের দিকে রওনা দেয়। তাদের পেছনে ছুটে চলে ছাত্র-জনতা। সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলি করলেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা পিছু হটতে বাধ্য হয়। ৩৫ জুলাই দুপুরে দেশে প্রথম কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতার পক্ষে অবস্থান নেয়। তারপর ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কুমিল্লায় ৩৯ জন শহীদ এবং ৪৭১ জন আহত হন। যাদের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ, তাদের সম্মানার্থেই মহান ৩৬ জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজনের চিন্তা মাথায় আসে।

৮ অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপে আমার দেশ পরিচালক ড. শাকিল ওয়াহেদ ভাইকে মেসেজ দিয়ে বললাম, ‘একটা বিষয় আপনার সঙ্গে আলাপ করতে চাই।’ তখন তিনি বললেন, ‘বলুন।’ আমি বললাম, ‘কুমিল্লায় জুলাই বিপ্লবের শহীদ ৩৯ জন এবং আহত ৪৭১ জন শহীদ পরিবার ও আহতদের সম্মাননা দিতে চাই আমার দেশ পাঠকমেলা কুমিল্লা জেলার ব্যানারে। মাহমুদুর রহমান স্যারকে বলে যদি আপনি তারিখ নির্ধারণ করেন, সেই অনুযায়ী কাজ করতে চাই। দয়া করে আপনি যদি স্যারের সঙ্গে আলাপ করে একটা সময় করে দিতেন।’ তখন তিনি বললেন, ‘একটু অপেক্ষা করেন, জানাচ্ছি।’ পাঁচ মিনিট পর মেসেজ দিয়ে বললেন, ‘মাহমুদুর রহমান স্যার সংবর্ধনা দিতে ইচ্ছুক অক্টোবর মাসের শেষের দিকে। আপনি তারিখ নির্ধারণ করুন।’ প্রথমে ৩০ অক্টোবর নির্ধারণ করা হলেও পরে ২০ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

কুমিল্লার সব প্রতিনিধিকে নিয়ে ১১ অক্টোবর প্রস্তুতি সভা করলাম। তারপর ১২ অক্টোবর আমার দেশ পাঠকমেলা কুমিল্লা জেলা কমিটির সঙ্গে সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হবেন—এমন সংবাদ জানার পর জেলা কমিটির সবাই উচ্ছ্বসিত হয়ে অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য কাজ শুরু করে।

১১ অক্টোবর রাতে আমার দেশ পাঠকমেলা কুমিল্লা জেলা কমিটির সভাপতি ডা. আরিফ মোর্শেদ খান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মনিরসহ কুমিল্লা জেলার সব সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে ভেন্যু হিসেবে কুমিল্লা নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম নির্ধারণ করা হয়।

পরে ১২ অক্টোবর মহান ৩৬ জুলাই বিপ্লবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করতে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে যাই ঢাকায়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্যারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে আমার দেশ সম্পাদক জানান, মহান ৩৬ জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সব ব্যয়ভার আমার দেশ বহন করবে। স্যারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুমিল্লায় এসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করার জন্য কুমিল্লার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে দাওয়াত করা হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।

২০ অক্টোবর সোমবার মহান ৩৬ জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষ্যে সকাল ৮টায় আমার দেশ কুমিল্লার সব উপজেলা প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন। পাশাপাশি আমার দেশ পাঠকমেলা কুমিল্লা জেলা কমিটির সদস্যরাও বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেন।

ভোর ৬টায় আমার দেশ পরিচালক ড. শাকিল ওয়াহেদ মুঠোফোনে আমাকে জানান, তারা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা ক্লাবে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আসেন। সেখান থেকে ১০টা ৪৫ মিনিটে সংবর্ধনাস্থল নবাব ফয়জুন্নেছা অডিটোরিয়ামে ঢোকার পর সব অতিথি আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান।

নির্ধারিত সময় সকাল ১১টায় কোরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী মো. জসিম উদ্দিন। আমার দেশ পাঠকমেলার সভাপতি ডা. আরিফ মোর্শেদ খানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন পাঠকমেলা কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মনির।

শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে বক্তব্য দেন শহীদ হামিদুর রহমান সাদমানের মা কাজী শারমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট বিকালে আমি যখন কান্দিরপাড়ে বিজয় মিছিল করছি, তখন আমার ছেলে ফোন করে বলে, মা, আমার বুকে গুলি লেগেছে। আমি তা বিশ্বাস করিনি। কিন্তু পরে আমার ছেলের বন্ধু রাফি বলে, আন্টি, সত্যি সাদমানের বুকে গুলি লেগেছে। তারাও ঢাকায় বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল। পুলিশ সেই বিজয় মিছিলে গুলি চালিয়েছিল। সেখান থেকে সাদমানকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর ডাক্তার জানান, সাদমান বেঁচে নেই। সেখানে আমার ছেলের লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় আমার ছেলের লাশ কুমিল্লায় এনে দাফন করেছি।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সেদিন সংসদ ভবনে জুলাইযোদ্ধাদের ওপর হামলায় আমি ব্যথিত হয়েছি। নিঃসন্দেহে এটা লজ্জার। আমি প্রশ্ন করতে চাই, সরকার তো আপনাদের। আমরা তো সরকারকে সমর্থন করেছি। জুলাই যুদ্ধের ইতিহাস ভোলা যাবে না, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও ভোলা যাবে না। আসুন, আমরা জুলাইযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘শত শত সাংবাদিক আছেন, যারা সত্য-মিথ্যা যাচাই করেন না। আমাদের একজন মাহমুদুর রহমান ভাই আছেন—তিনি একজন স্পষ্টভাষী, সত্যবাদী ও সাহসী সাংবাদিক। তাকে অনুসরণ করেন অন্য সাংবাদিকরা। দেশকে বাঁচান, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করুন।’

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কলামিস্ট এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘আজকের রাষ্ট্রে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আছে। এই সরকারের ক্ষুদ্র জায়গা থেকে আমিও কাজ করছি। আরেকটি নির্বাচন সামনে আসবে। একটি নির্বাচিত সরকারের প্রত্যাশায় আমরা আছি।’

কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যাসহ সব গণহত্যার বিচার হতে হবে। নির্বাচনের যে সময় দিয়েছেন, সেই সময়েই নির্বাচন করা সম্ভব, তার আগেও বিচার করা সম্ভব। বিচার শুরু হলে চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি, এ বিপ্লব শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা পৃথিবীতে শতাব্দীর পর শতাব্দী আলোচিত হবে। আপনারা মন খারাপ করবেন না, আপনাদের ছেলেমেয়েদের গল্প সারা পৃথিবীতে শতাব্দীর পর শতাব্দী আলোচিত হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যেই মুহূর্তে আমাদের সন্তানেরা মৃত্যুকে জয় করতে সক্ষম হয়েছে, সেই মুহূর্তে ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ পরাজিত হয়েছে। কারণ আমাদের তরুণেরা কেবল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধেই নয়, তারা ভারতীয় হেজেমনি ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছে। নিরস্ত্র তরুণ-তরুণীরা এই যুদ্ধে নিজের শক্তি এবং আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে জয়ী হয়েছে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে মারা যাওয়া চেগুয়েভারাকে মহানায়ক হিসেবে জানতাম। আজকের মহানায়ক হলো আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ওয়াসিমের মতো শহীদরা। তারা আমাদের মহানায়ক। আমাদের আর বাইরে থেকে মহানায়ক আনতে হবে না।’

শহীদ পরিবারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনেক চাহিদা পূরণ হয়নি, আমরা জানি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমার দেশ তার সীমিত ক্ষমতা দিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজকে কুমিল্লা পাঠকমেলা যে আয়োজন করেছে, তা আপনাদের অবদানের কাছে কিছুই নয়। কিন্তু আপনাদের জন্য আয়োজন করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।’

জুলাই যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ও আহতদের অভিবাদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মহান জুলাই না এলে আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতাম না। এই মহান জুলাই সংঘটিত না হলে আমার দেশ পুনঃপ্রকাশিত হতো না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ফিরে পেত না। বাংলাদেশ রাষ্ট্র তার সার্বভৌমত্ব ফিরে পেত না। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে আপনাদের সন্তানদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে। আপনারা কাঁদবেন না, আপনারা গর্ব করবেন। সমগ্র জাতি তাদের জন্যই গর্ব করে। আমার দেশ পত্রিকা তাদের জন্য আলাদাভাবে কাজ করছে। আমাদের মন থেকে তারা কখনো সরে যায় না—সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের স্মরণে থাকে।’

এছাড়া বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, আমার দেশ পরিচালক ড. শাকিল ওয়াহেদ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, মফস্বল সম্পাদক আবু দারদা জোবায়ের, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, এবি পার্টির কুমিল্লা জেলা সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুর রহমান হেলাল, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল, এনসিপির কুমিল্লা মহানগর যুগ্ম সমন্বয়ক রাশেদুল হাসান প্রমুখ।

আমার দেশ কুমিল্লা প্রতিনিধি এম হাসানের সঞ্চালনায় কুমিল্লার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আমার দেশ পাঠকমেলা কুমিল্লা জেলার সদস্য, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলার সব প্রতিনিধিই উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কুমিল্লার শহীদ ৩৯ জনের পরিবার এবং ২০ জন আহত সদস্যের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

তরুণরাই সমাজের আলোকবর্তিকা

ইসলামি বইমেলায় কেন্দ্রীয় সদস্যরা

মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে পাঠচক্র

'মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস ও উত্থান-পতনের কারণ বিশ্লেষণ' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

রাংগুনিয়ায় পাঠচক্র অনুষ্ঠিত

সোনারগাঁয়ে আমার দেশ পাঠকমেলার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

কুড়িগ্রাম জেলা শাখা কমিটি

রাবিতে ‘আমার দেশ পাঠকমেলার’সেমিনার

সুনামগঞ্জে সিরাত সেমিনার ও দোয়া মাহফিল

হাফেজ আশরাফুল ইসলামকে স্মরণ